অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে বিশাল এই রেকর্ড গড়ল রোহিতের ভারত!

আগের দুই ম্যাচে একটি করে জয়ে, তৃতীয় টি-টোয়েন্টি হয়ে দাঁড়িয়েছিল সিরিজ নির্ধারনীতে। আগের ম্যাচেই চেজিংয়ে দুর্দান্ত ব্যাট করে ম্যাচ জেতা ভারত, এদিন টস জিতেই অজিদের জানায় ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ। আগে ব্যাট করে ক্যামেরুন গ্রিনের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে দারুণ শুরু করে অজিরা,

শেষ দিকে টিম ডেভিডের ব্যাটে বড় সংগ্রহ গড়ে তাঁরা। হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন গ্রিন-ডেভিড দু’জনই। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ওভারে ১৮৬ রানের পাহাড় গড়ে অস্ট্রেলিয়া। জবাবে সূর্যকুমার যাদব ও বিরাট কোহলির শতাধিক রানের জুটিতে। শেষ পর্যন্ত ১ বল ও ৬ হাতে রেখেই সিরিজ জিতে নেয় ভারত। ৫টি করে চার ও ছক্কায় সূর্যকুমার খেলেছেন ৬৯ রানের ইনিংস। ৬৩ রানের ইনিংস খেলেন বিরাট কোহলি। সেই সাথে এক পঞ্জিকাবর্ষে টি-টোয়েন্টিতে সর্বাধিক ২১ জয়ের অন্যন্য নজিরও গড়েছে ভারত।

অ্যারন ফিঞ্চদের ৭ উইকেটে ১৮৭ রানের জবাবে ভারত এক বল বাকি থাকতেই তুলল ৪ উইকেটে ১৮৭ রান। জয়ের জন্য ১৮৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ব্যর্থ হলেন ভারতের দুই ওপেনারই। প্রথমেই আউট হলেন সহ-অধিনায়ক লোকেশ রাহুল (১)। অধিনায়ক রোহিত ভাল শুরু করেও আউট হলেন কামিন্সের বলে। তিনি করলেন ১৪ বলে ১৭ রান। দলের ইনিংসের হাল ধরলেন প্রাক্তন অধিনায়ক বিরাট কোহলি। দুবাইয়ের পর তাঁকে আবার চেনা মেজাজে গেল নিজামের শহরে।

২২ গজে তাঁকে সঙ্গ দিলেন সূর্যকুমার যাদব। বেশি আগ্রাসী ছিলেন সূর্যকুমার। কোহলি তাঁকে তৃতীয় উইকেটের জুটিতে তাঁরা তুললেন ১০৪ রান। শেষ পর্যন্ত ৩৬ বলে ৬৯ রান করে গ্রিনের বলে আউট হলেন সূর্যকুমার। মারলেন ৫টি করে চার এবং ছয়। অর্ধশতরান করলেন কোহলিও। ৪৮ বলে ৬৩ রানের ইনিংস খেললেন তিনি। কোহলির ব্যাট থেকে এল ৩টি চার এবং ৪টি ছক্কা। ভাল ব্যাট করলেন হার্দিক পাণ্ড্যও।

এর আগে টস জিতে অস্ট্রেলিয়াকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠান রোহিত। ওপেন করতে নেমে শুরু থেকেই ক্যামেরন গ্রিন আগ্রাসী ব্যাটিং শুরু করেন। ভারতের কোনও বোলারই তাঁর আগ্রাসনকে বাগে আনতে পারেননি। মাত্র ১৯ বলে অর্ধশতরান পূর্ণ করেন গ্রিন। শেষ পর্যন্ত ২১ বলে ৫২ রান করে আউট হয়ে যান গ্রিন। তাঁর ইনিংসে রয়েছে ৭টি চার এবং ৩টি বিশাল ছক্কা। ভুবনেশ্বর কুমারের বলে তিনি আউট হওয়ার পর ছন্দ হারাল অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস।

কারণ সফরকারীদের প্রথম সারির অন্য কোনও ব্যাটারই হায়দরাবাদের ২২ গজে সফল হলেন না। অন্য ওপেনার তথা অধিনায়ক ফিঞ্চ (৭), স্টিভ স্মিথ (৯), গ্লেন ম্যাক্সওয়েল (৬) দ্রুত সাজঘরে ফিরলেন। পর পর উইকেট হারিয়ে চাপে প়ড়ে যায় সফরকারীরা। বোলাররা লড়াইয়ে ফেরান ভারতকে। পরে অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসকে আবার কিছুটা গতি দেওয়ার চেষ্টা করেন জস ইংলিস এবং টিম ডেভিড। পঞ্চম উইকেটের জুটিতে তাঁরা যোগ করেন ৩১ রান।

২৪ রান করে অক্ষরের বলে আউট হন ইংলিস। রান পেলেন না ম্যাথু ওয়েডও (১)। তাঁকেও ফেরালেন অক্ষর। এর পর ড্যানিয়েল স্যামসকে নিয়ে দলের ইনিংস টানলেন ডেভিড। ২৭ বলে ৫৪ রান করে আউট হলেন ডেভিড। মারলেন ২টি চার এবং ৪টি ছয়। স্যামস অপরাজিত থাকলেন ২০ বলে ২৮ রান করে। তাঁর ব্যাট থেকে এল ১টি চার এবং ২টি ছয়। অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস শেষ হয় ৭ উইকেটে ১৮৬ রানে।

ভারতের সফলতম বোলার অক্ষর পটেল। তিনি ৩৩ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিলেন। ২২ রানে ১ উইকেট যুজবেন্দ্র চহালের। ৩৯ রান দিয়ে ১ উইকেট ভুবনেশ্বর কুমারের। ১৮ রান দিয়ে ১ উইকেট নিয়েছেন হর্ষল পটেল। তবে চার ওভার বল করে ৫০ রান দিলেন যশপ্রীত বুমরা। কোনও উইকেট পেলেন না তিনি। এই প্রথম টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ৫০ রান দিলেন বুমরা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *